কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?

সংসারে একজন নতুন অতিথি আসার মত আনন্দ বোধহয় আর কিছুতে নেই! কোন দম্পতির ঘর আলো করে যখন সন্তান আসে, তখন সেই মুহুর্তটিকে মনে হয় বেশ সুখের, তৃপ্তির। শুরু থেকে নতুন অতিথির স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সবই প্রস্তুতি নিতে থাকেন বাবা মা। শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তো বটেই, সেইসাথে শিশুর নাজুক শরীরের সুরক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার ?

কীভাবে নিবেন নবজাতকের স্কিন কেয়ার –
নবজাতকের জন্মের পর অন্য সবকিছুর পাশাপাশি শুরু থেকেই এ ব্যাপারটির উপর বাবা মায়ের গুরুত্ব দেয়া জরূরী সেটি হচ্ছে শিশুর ত্বক। মনে রাখবেন, জন্মের পর নবজাতক শিশুর ত্বক বেশ নাজুক থাকে। সেই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও। তাই একদম শুরুতেই হঠাৎ করেই কোন ধরণের ক্রিম, তেল, সুগন্ধী বা কাপড় ব্যবহার করলে তা শিশুর চামড়ায় শুষ্কতা, এমনকি লালচে র‍্যাশের মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সন্তান জন্মের আগে থেকে সাবধান হওয়া উচিৎ।
For Wedding Design Solution, Beauty Tips, Recipe Tips, Logo Design, Tutorials and many more visit...
<a href="http://shajutshob.blogspot.com/">shajutshob.blogspot.com</a>
সন্তান জন্মের পর সবার আগে যেই কাজটি করা উচিৎ, সেটি হলো শিশুর জন্য কোমল এবং উষ্ণ আরামদায়ক জায়গার ব্যবস্থা করা। শিশু জন্মের পর তার শরীরের চামড়ায় ভারনিক্স নামের এক ধরণের তেল জাতীয় পদার্থ থাকে। এই পদার্থ অনেকটা অ্যান্টিবডির মত কাজ করে। বাইরের ধুলো বালি কিংবা অন্য কিছু যা শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সব ত্বকের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়। আমাদের দেশের মায়েদের মধ্যে একটি খুবই সাধারণ ব্যাপার দেখা যায়, সন্তান জন্মের পর তার শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করিয়ে ফেলতে চান। সেই সাথে শিশুর ত্বকে নানা ধরণের দেশি বিদেশী ক্রিম লাগানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সত্যি কথা বলতে এই ধরণের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিৎ।
সন্তান জন্মের পর অন্তত প্রথম সপ্তাহে শিশুকে গোসল করানো, ক্রিম লাগানো কিংবা এই ধরণের কোন কিছু লাগানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কারণ গোসল করালে শিশুর ত্বকে প্রাকৃতিক যে তেলের স্তরটি থাকে, তা সরে যাবে এবং শিশুর ত্বক আরো নাজুক হয়ে পড়বে। একজন নবজাতকের জন্য গোসলের নিয়ম হচ্ছে সপ্তাহে তিনবার। তবে অবশ্যই সেটা পানি ঢেলে গোসল নয়, স্পঞ্জ কিংবা নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে শরীর মুছে ফেললেই হবে। এর বেশি গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যাবে, সেই সাথে ত্বকের তেলের আস্তর সরে গেলে একজিমার মত ভয়াবহ চামড়ার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
সাধারণত মুখের লালা এবং ডায়াপার ছাড়া নবজাতক শিশু খুব একটা নোংরা হয় না। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্পঞ্জ দিয়ে গা মুছে দিলেই যথেষ্ট। আর দিনে একবার ক্লিনসার কিংবা অল্প একটু পানি দিয়ে মুখের ভেতরটা পরিষ্কার করে নিলেই হবে। শিশুর জন্মের পর অন্তত একবছর এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎ।
আগেই বলেছি, শিশুর জন্মের পরই আমাদের দেশের নারীরা তাদের শরীরে বিভিন্ন দেশী বিদেশী বেবী প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চান। শিশুর জন্মের পর অন্তত প্রথম ৬ মাস এই জিনিসটি সাবধানে ব্যবহার করা উচিৎ। আপনার বংশে যদি এলার্জি কিংবা অ্যাজমা এর রেকর্ড থেকে থাকে, তাহলে তো প্রশ্নই আসে না। কারণ নামে উপকারী হলেও এইসব বেবী প্রোডাক্ট শিশুর শরীরের প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট করে, যার কারণে শিশুর ত্বকে স্কিন ইনফেকশন হতে পারে।
নিয়মিত শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড় পরিষ্কার করতে হবে। এইক্ষেত্রে সুগন্ধী ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের জামাকাপড়ের সাথে শিশুর লন্ড্রি মেলাবেন না। সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে পরিষ্কার ও গরম পানি দিয়ে সেগুলো পরিষ্কারের চেষ্টা করা দরকার।
আপনার শিশুর ডায়াপার নিয়মিত চেক করবেন। কারণ অধিক সময় ধরে নোংরা ডায়াপার পরা থাকলে শিশুর চামড়ায় র‍্যাশ হতে পারে। তাই ডায়াপার নোংরা হলে যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করবেন। ত্বক মোছার জন্য বাজারের বেবী ওয়াইপ না ব্যবহার করাই ভালো। এর পরিবর্তে পরিষ্কার নরম কাপড় ব্যবহার করুন। বেবী ওয়াইপে থাকা ক্যামিক্যাল শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যদি বেবী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন, তবে লক্ষ্য রাখবেন পাউডার যাতে শিশুর মুখের দিকে না যায়। এতে শিশুর শ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
আর শিশুর ত্বক কে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই জন্মের অন্তত দশ সপ্তাহ পর থেকে। রিসার্চে দেখা গেছে শিশুকে কিভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে, তার উপর শিশুর সুস্থতা ও বৃদ্ধি খানিকটা নির্ভর করে। শিশুর শরীর ম্যাসাজের জন্য স্পেশাল কোন টেকনিক নেই। একটি উষ্ণ রুমে শিশুকে ভাঁজ করা কম্বলের উপর উপুড় করে শোয়ান। এরপর স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বেবী লোশন কিংবা বেবী অয়েল হাতে মেখে নিয়ে আলতো করে শিশুর শরীরে বুলান। মনে রাখবেন, শিশুর শরীরে যাতে চাপ না লাগে। এতে শিশু ব্যাথা লাগতে পারে। সাবধানে আলতো ভালো সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এতে শিশুর চামড়া নরম এবং স্বাস্থ্যকর হবে।
সুস্থ ও হাসিখুশি একজন নতুন অতিথী কে না চায়? তাই আপনার নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে জন্ম থেকেই তার যত্ন নেয়া জরুরী।

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সত্ত্বেও ডিজিটাল প্লানিং এ চুরি হয়ে গেল চিপ।

হলিউডের একটি সিনেমাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকা সত্বেও চুরি হয়ে গেল চিপ। দারুন হাত ছাপায় এবং প্লানিং এর মাধ্যমে চুরিটি করা হয়েছে। দেখেনিন ভিডিওটি।

Popular Posts